ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নববধূকে হত্যা করে সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় ঘাতক স্বামী আটক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নববধূকে হত্যা করে সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় ঘাতক স্বামী আটক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃশফিকুল হক শাকিল,,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের ৪ দিন পর স্ত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘাতক স্বামী আব্দুল হামিদ (২৮) কে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড় মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করে ২৫ বিজিবি’র সদস্যরা। পরে তাকে আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। মূলত মোবাইল দেখা নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে সে তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। এরআগে মঙ্গলবার দুপুরে তাছলিমা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী আব্দুল হামিদ।
জানা যায়, ৭/৮ মাস আগে হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী পুত্র আব্দুল হামিদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জামের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের বিয়ে হয় মোবাইল ফোনে। সম্প্রতি হামিদ দেশে ফিরে এসে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রæয়ারি) অনুষ্ঠান করে স্ত্রী তাছলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পরিবারিক কলহ দেখা দেয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ধারালো ছুরি দিয়ে তাছলিমাকে গলা কেটে হত্যা করে হামিদুল। এ সময় হামিদুলের বড় ভাই হানিফ বাধা দিলে তাকেও হামিদুল ছুরিকাঘাত করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। মামলায় কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ২৫ বিজিবি (সরাইল) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরমান আরিফ (পিএসসি) বলেন, সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা আসামীকে আটক করেছে। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে তার স্ত্রী মোবাইলে টিকটক দেখতো ও ছেলের সাথে চ্যাটিং করতো বলে সন্দেহ ছিল। হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে তাকে তার স্ত্রী মোবাইল ধরতে বারণ করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেয়নি। এরপর স্বামী আব্দুল হামিদ বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ছুরি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তারিখঃ ১৪.০২.২০২৪ইং
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃশফিকুল হক শাকিল,,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের ৪ দিন পর স্ত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘাতক স্বামী আব্দুল হামিদ (২৮) কে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড় মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করে ২৫ বিজিবি’র সদস্যরা। পরে তাকে আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। মূলত মোবাইল দেখা নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে সে তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। এরআগে মঙ্গলবার দুপুরে তাছলিমা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী আব্দুল হামিদ।
জানা যায়, ৭/৮ মাস আগে হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী পুত্র আব্দুল হামিদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জামের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের বিয়ে হয় মোবাইল ফোনে। সম্প্রতি হামিদ দেশে ফিরে এসে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রæয়ারি) অনুষ্ঠান করে স্ত্রী তাছলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পরিবারিক কলহ দেখা দেয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ধারালো ছুরি দিয়ে তাছলিমাকে গলা কেটে হত্যা করে হামিদুল। এ সময় হামিদুলের বড় ভাই হানিফ বাধা দিলে তাকেও হামিদুল ছুরিকাঘাত করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। মামলায় কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ২৫ বিজিবি (সরাইল) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরমান আরিফ (পিএসসি) বলেন, সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা আসামীকে আটক করেছে। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে তার স্ত্রী মোবাইলে টিকটক দেখতো ও ছেলের সাথে চ্যাটিং করতো বলে সন্দেহ ছিল। হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে তাকে তার স্ত্রী মোবাইল ধরতে বারণ করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেয়নি। এরপর স্বামী আব্দুল হামিদ বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ছুরি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তারিখঃ ১৪.০২.২০২৪ইং

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

themesbazartvsite-01713478536